অনেক পাঠকেরই হয়ত জানেন না যে মহানবী মুহম্মদকে শ্রেষ্টতম বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদ ও দার্শনিকবলে অভিহিত করা হয়, তিনি 'রাতে সূর্য কোথায় থাকে' - এই রহস্যের
কি হাস্যকর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন । "এক সাহাবার (আবু যর) সাথে মতবিনিময় কালে মহানবী বলেছিলেন যে, রাত্রিকালে সূর্য থাকে খোদার আরশের নীচে। সারা রাত ধরে সূর্য নাকি খোদার আরশের নীচে থেকে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করেআর তারপর অনুমতি চায় ভোরবেলা উদয়ের "(সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬/৬০/৩২৬, ৪/৫৪/৪২১) ।
যারা প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলিকে বিজ্ঞানের মোড়কে পুরতে চান, তারা কি এই হাস্যকর
আয়াতগুলির কথা জানেন না? কি হাস্যকর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন । "এক সাহাবার (আবু যর) সাথে মতবিনিময় কালে মহানবী বলেছিলেন যে, রাত্রিকালে সূর্য থাকে খোদার আরশের নীচে। সারা রাত ধরে সূর্য নাকি খোদার আরশের নীচে থেকে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করেআর তারপর অনুমতি চায় ভোরবেলা উদয়ের "(সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬/৬০/৩২৬, ৪/৫৪/৪২১) ।
যারা প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলিকে বিজ্ঞানের মোড়কে পুরতে চান, তারা কি এই হাস্যকর
উত্তরঃ
প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠাই স্বাভাবিক।
কিন্তু উক্ত নাস্তিক এখানে ভুল অর্থ ও ব্যাখ্যা করেছে।
কিন্তু উক্ত নাস্তিক এখানে ভুল অর্থ ও ব্যাখ্যা করেছে।
আমি মূল আরবী থেকে অনুবাদ করার চেষ্টা করছি।
[সহীহ বুখারী, খন্ড-৬, অধ্যায়-৬০, হাদীস নং-৩২৬]
'' হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সঃ) সূর্যাস্তের সময় (সন্ধ্যার সময়) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
হে আবু যার ! তুমি কি জান সূর্য কোথায় যাচ্ছে (বা যাবে)? তিনি [আবু যার] বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল অধিক ভাল জানেন ।তিনি [রসুল (সঃ)] বললেন, সূর্য যাচ্ছে যতক্ষন না এটি আল্লাহর আরশের নীচে এসে প্রনত হয় বা ধরাশয়ী হয়। [এরপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি উল্লেখ করেন]যেমন আল্লাহ বলেছেন, 'আর সূর্য তাঁর জন্য নির্ধারিত পথে ধাবিত হয়।এটা মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা।'[সূরা ইয়াসীন,সূরা নং-৩৬ আয়াত-৩৮] "
হে আবু যার ! তুমি কি জান সূর্য কোথায় যাচ্ছে (বা যাবে)? তিনি [আবু যার] বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল অধিক ভাল জানেন ।তিনি [রসুল (সঃ)] বললেন, সূর্য যাচ্ছে যতক্ষন না এটি আল্লাহর আরশের নীচে এসে প্রনত হয় বা ধরাশয়ী হয়। [এরপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি উল্লেখ করেন]যেমন আল্লাহ বলেছেন, 'আর সূর্য তাঁর জন্য নির্ধারিত পথে ধাবিত হয়।এটা মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা।'[সূরা ইয়াসীন,সূরা নং-৩৬ আয়াত-৩৮] "
[সহীহ বুখারী, খন্ড-৪, অধ্যায়-৫৪, হাদীস নং-৪২১]
'' হযরত আবু যার (রাঃ) বলেন, একদা রাসুল (সঃ) সূর্যাস্তের সময় (সন্ধ্যার সময়) আমাকে বললেন, তুমি কি জান সূর্য কোথায় যাচ্ছে বা যাবে? তিনি [আবু যার] বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল অধিক ভাল জানেন ।তিনি [রসুল (সঃ)] বললেন, নিশ্চয়ই সূর্য যাচ্ছে যতক্ষন না এটি আল্লাহর আরশের নীচে এসে প্রনত হয় বা ধরাশয়ী হয়।অতপর সে অনুমতি চায় এবং অনুমতি দেয়া হয়।এমন একদিন সময় আসবে, যেদিন সে প্রনত হবে কিন্তু তা কবুল করা হবেনা এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তা দেয়া হবে না । তাকে বলা হবে, যে পথে এসেছে সে পথে ফিরে যাও । তারপর সে যে দিকে গমন করছিল ষে দিক থেকে আগমন করবে। [এরপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি উল্লেখ করেন] যেমন আল্লাহ বলেছেন, 'আর সূর্য তাঁর জন্য নির্ধারিত পথে ধাবিত হয়।এটা মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা।'[সূরা ইয়াসীন,সূরা নং-৩৬ আয়াত-৩৮]
'' হযরত আবু যার (রাঃ) বলেন, একদা রাসুল (সঃ) সূর্যাস্তের সময় (সন্ধ্যার সময়) আমাকে বললেন, তুমি কি জান সূর্য কোথায় যাচ্ছে বা যাবে? তিনি [আবু যার] বললেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল অধিক ভাল জানেন ।তিনি [রসুল (সঃ)] বললেন, নিশ্চয়ই সূর্য যাচ্ছে যতক্ষন না এটি আল্লাহর আরশের নীচে এসে প্রনত হয় বা ধরাশয়ী হয়।অতপর সে অনুমতি চায় এবং অনুমতি দেয়া হয়।এমন একদিন সময় আসবে, যেদিন সে প্রনত হবে কিন্তু তা কবুল করা হবেনা এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তা দেয়া হবে না । তাকে বলা হবে, যে পথে এসেছে সে পথে ফিরে যাও । তারপর সে যে দিকে গমন করছিল ষে দিক থেকে আগমন করবে। [এরপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি উল্লেখ করেন] যেমন আল্লাহ বলেছেন, 'আর সূর্য তাঁর জন্য নির্ধারিত পথে ধাবিত হয়।এটা মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা।'[সূরা ইয়াসীন,সূরা নং-৩৬ আয়াত-৩৮]
[ এখানে,
قل النبى لابى ذر (কলান নাবিয়ু লিআবি যর)-নবী(সঃ) আবু যর (রাঃ)কে বললেন
حين غربت الشمس (হীনা গরাবাতিস শামস)- সূর্যাস্তের সময়ে তথা সন্ধ্যার সময়ে
ا تدرى (আ তাদরি)-তুমি কি জান
اين تذهب (আয়না তাযহাবু)-ষে কোথায় যাচ্ছে বা যাবে ]
قل النبى لابى ذر (কলান নাবিয়ু লিআবি যর)-নবী(সঃ) আবু যর (রাঃ)কে বললেন
حين غربت الشمس (হীনা গরাবাতিস শামস)- সূর্যাস্তের সময়ে তথা সন্ধ্যার সময়ে
ا تدرى (আ তাদরি)-তুমি কি জান
اين تذهب (আয়না তাযহাবু)-ষে কোথায় যাচ্ছে বা যাবে ]
এই হাদিস দুটিতে “রাত্রিবেলা, সারা রাত ধরে, ইবাদত-বন্দেগী, ভোরবেলা”- এইসব শব্দের কোন উল্লেখ নেই।
হাদিসের ব্যাখ্যাঃ
আমরা জানি, সূর্য সৌরজগতকে সঙ্গে নিয়ে spiral পথে ছায়াপথের মধ্য দিয়ে গমন করছে।
এর পথের নাম “The Milky Way” ।
এই পথে সূর্য প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২৩০ কিমি বেগে ধাবিত হচ্ছে এবং একটি পূর্ণ চক্র সম্পাদন করতে প্রায় ২৩ কোটি বছর প্রয়োজন ।
এভাবে সূর্য Hercules (Constellation)-এর অভ্যন্তরের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এর পথের নাম “The Milky Way” ।
এই পথে সূর্য প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২৩০ কিমি বেগে ধাবিত হচ্ছে এবং একটি পূর্ণ চক্র সম্পাদন করতে প্রায় ২৩ কোটি বছর প্রয়োজন ।
এভাবে সূর্য Hercules (Constellation)-এর অভ্যন্তরের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সুতরাং অত্র হাদিসে এটারই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment