ঈদের হিসাবে ২ নাম্বার আর রোজার পরে প্রথম বারের মত ঈদ দেশের বাইরে।মা,বাবাকে ছাড়া।ভাই বোন ছাড়া।এলাকার মানুষজন ছাড়া, বন্ধু-বান্ধব ছাড়া।বড় ভাইকে প্রতি ঈদে মিস করতাম দেশে থাকতে।হয়তবা বুঝতে দিতাম না। এখন তো আরো বেশী মিস করছি।বুঝতে পারছি ভাইয়া বছরের পর বছর কষ্ট বুকে চেপে আমাদের ছাড়া কিভাবে ঈদ করছেন।আর মা বাবার সাথে আবার কখন কপালে ঈদ জুটবে সেটা নিজেও জানিনা।সেই সময়টুকু যেন খুব তাড়াতাড়ি আসে আশায় আছি।
বাংলাদেশের ঈদের আমেজটা আসলে বিশ্বের কোথাও পাওয়া যাবে না।ঈদের ১৫-২০ দিন আগে থেকে শপিং এর প্রস্তুতি।সপ্তাহ খানেক আগের মার্কেট গুলার উপচে পড়া ভীড়।শুধু আমাদের মানুষগুলার স্বভাব কিছুটা খারাপ।কিন্তু আমাদের কালচারটা অনেক আনন্দের,যা এই কালচার থেকে সরে যাওয়ার পর বুঝা যায়।
ঈদের দিনে পাশের ঘরের চাচা চাচী,দাদা-দাদী,ভাই-ভাবীদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময়, সন্দেশ, পিঠা দিয়ে অথিতি আপ্যায়ন, আর কয়টা দেশেই বা আছে।বাচ্চাদের সেলামির জন্য আবদার,আর বড়রা ১০-২০ টাকা সেলামি দিয়ে তাদের আবদার মেটানো।
আর দেশে বন্ধুদের সাথে ঈদের আড্ডার তো কোন তুলনাই হয় না।এক সাথে শপিং, ঈদের পরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি।বন্ধুদের থেকে দূরে গিয়ে একাকিত্বের জীবনে পড়ার পর বুঝা যায় আসলে বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল।
No comments:
Post a Comment