রিলেশনের ক্ষেত্রে "টাইপ" শব্দটা আসলে খুবই দরকারী একটা শব্দ।সম্পর্ককারী দুইজন একি টাইপের না হলে রিলেশনের মেয়াদ খুব বেশী হয়না। x যদি y এর টাইপ না হয় তাহলে x এবং y এর কি কি সমস্যা হতে পারে দেখা যাকঃ
-x, y কে রিলেশন সম্পর্কে
কিছু একটা জিজ্ঞেস করলো, তুমি আমাকে কতটুকু ভালবাস? আমি যদি কখনো তোমার উপর রাগ করে চলে যাই তুমি কি করবে?উত্তরে x যা করলো তার বিপরীত উত্তর পেলো।তুমি চলে গেলে চলে যাবে, টাইপের উত্তর।
-x, yকে বলল, তুমি এই সময়ে আমাকে মেসেজ দিওনা, আমি কাজে থাকি, কিন্তু y এই টাইমেই x কে ডিস্টার্ব করে।মনে করে x মনে হয় ওরে মিথ্যা কাজের বাহানা দেখাচ্ছে।
- x একটি ছেলে হিসাবে বাইরের জগতে ওর অনেক কাজ থাকতে পারে কিন্তু y তা মানতে চায় না।এ নিয়ে বাধে ঝগড়া।
- x খুব ঠান্ডা মেজাজের একজন মানুষ।কিন্তু y চঞ্চল। এতটাই চঞ্চল যে ওর চঞ্চলতার কারনে x মেজাজ ঠিক রাখতে পারে না।
-y এর নাকের ডগায় রাগ, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রাগ চলে আসে, আবার ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ।এই ১০ মিনিটে y, x কে অপমান করে যার তার সামনে।কিন্তু x এ রকম সম্পর্ক রাখতে চায়না।
-y জীবনকে কোন রুপকথার গল্প ভাবে, কিন্তু x জীবনকে বাস্তবের নিরীখে এগোতে চায়।
-y এর চলাফেরার মধ্যে বাঝে ধরনের অভ্যাস আছে, x তা অক্ষরে অক্ষরে পরিবর্তনের কথা বলে।কিন্তু y তাতে কোন পাত্তাই দেয়না।
- y সর্বদা চায় ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিয়ে হাসি-খুশী থাকতে, কিন্তু x তা চায় না।ও চায় না যে y অন্য কোন ছেলের সাথে মিশুক বা বন্ধুত্ব করুক। খারাপ কোন মেয়ের সাথে মিশুক তাও চায় না।
- দুজন দুই জায়গায় থাকলে x চায় y এর সাথে সব সময় চ্যাটিং কিংবা ফোন করতে। কিন্তু y তাতে মহা বিরক্ত, দিনে একবার খবর নিলেই তো হয়।এত ফোন করার কি দরকার।
-y আশায় থাকে x অফিস থেকে ফোন করে ওরে জিজ্ঞেস করবে জান, দুপুরে খাইছো, কিন্তু x তা করে না। x মনে করে এইটা আবার জিজ্ঞেস করার কি, সময় হলে খেয়ে নেবে।
-লম্বা সময় চ্যাট করার পর বিদায় নেয়ার সময় y অপেক্ষা করবে x যেন ওকে আই লাভ ইউ, কিস দিয়ে বিদায় নিবে, কিন্তু x এর তা মনেই থাকে না।
-সারা দিনে অফিস থেকে বাসায় ফিরবে x।অপেক্ষা করবে y যেন এসে ওকে একটু আদর করে রিসিভ করে।সুন্দর সুন্দর কথা বলে ভাত বেড়ে দেয়।আর x দেখবে y এখন খায়নি, ওর সাথে খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু y যদি তা না করে আগে ভাগে খেয়েই সিরিয়াল দেখতে বসে থাকে।কিংবা যদি তার উল্টোটা হয়, y অপেক্ষা করছে x এর সাথে খাওয়ার জন্য, কিন্তু x এসে ওরে না বলেই একা খেতে বসছে।
- মার্কেটে কাপড় কেনার জন্য গেছে, x এর এক ধরনের কাপড় পছন্দ, আর y অন্য ধরনের।x চায় য় যেন শাড়ী পরে, কিন্তু y ড্রেস পছন্দ করে।কালার নিয়েও বাধে যুদ্ধ।
-কোন পার্টি কিংবা অনুষ্টানে যাওয়ার জন্য সাজগোজ করছে y।যেভাবে সাজছে সেটা একটুও পছন্দ হচ্চে না x এর।কিংবা x এর এই শার্ট এ ভালো মানাচ্চে না। y এর অপছন্দনীয় হলেও ঝগড়ার ভয়ে কিছু বলছে না।
-খাওয়ার আইটেম দুই জনের দুই রকম। x এক ধরনের খাবার পছন্দ করে y সেটা পছন্দ করে না। রান্না নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হয়।
- পছন্দ -অপছন্দ, চলাফেরা এইসব নিয়ে প্রায়ই তর্ক বাধে দুজনের মধ্যে। তর্কের সময় x এমন কিছু কথা বলে যা y এর মোটেও পছন্দনিয় নয়।
-x বড় হয়েছে অতিরিক্ত মডার্ন পরিবারে।বড়লোকদের সাথে উঠা বসা কিন্তু y সাধারন ঘরের মেয়ে। সেক্ষেত্রে x এবং y কিভাবে ম্যাচিং থাকবে।
-y, x কে শুধুমাত্র তার স্বামীই ভাবে না, বরং একজন বন্ধুও ভাবে।কিন্তু x, y কে শুধু স্ত্রী ভাবে। তার কাছে স্ত্রী মানে,বিয়ে করে আনছি। ঘরের কাজ করো, চাকরের মত খাটো।
- সব থেকে ইম্পোর্টেন্ট হলো বুঝা-পাড়া। x কখন রাগ করছে, কখন কষ্টে আছে, কখন কোন কথায় কষ্ট পাইছে, কখন কি দরকার, কখন কি বললে x খুশী হবে, কখন x এর মন খারাপ, কখন ওরে সাপোর্ট দিতে হবে, কখন কি করলে ও খুশী হবে এই সব যদি y না জানে কিংবা y এর ক্ষেত্রে x না জানে তাহলে x,y এর টাইপ নয়।দুইজন দুই টাইপ।
দেখা গেল, x এবং y এর মধ্যে প্রতি ১০ টি কথার ৫ টিতে ঝগড়া,১০ কাজের ৬ টিতে অমিল, ওর ভাল মনে হলে, এর খারাপ মনে হয়। তাহলে কিভাবে চলে?
এ রকম চলতে চলতে দেখা যায় দুই জনের মধ্যে একজন আর একজনের প্রতি চরম বিরক্ত।কেউ কারো নজর দেখতে পারেনা। অথবা একজন সবই সহ্য করতে পারে, কিন্তু অন্য জন ওর চোখের বিষ হয়ে উঠে।সম্পর্কে এ রকম তিক্ততা চলে আসার পর আর কোনদিন ও সম্পর্ক জোড়া লাগবে না, লাগলেও ঠিকবে না। দুজন দূরে থাকাই শ্রেয়।
এ রকম চলতে চলতে দেখা যায় দুই জনের মধ্যে একজন আর একজনের প্রতি চরম বিরক্ত।কেউ কারো নজর দেখতে পারেনা। অথবা একজন সবই সহ্য করতে পারে, কিন্তু অন্য জন ওর চোখের বিষ হয়ে উঠে।সম্পর্কে এ রকম তিক্ততা চলে আসার পর আর কোনদিন ও সম্পর্ক জোড়া লাগবে না, লাগলেও ঠিকবে না। দুজন দূরে থাকাই শ্রেয়।
অনেকেই হয়তো বলবেন, দুইজন দুইরকম হতেই পারে।কম্প্রমাইজ করে চলা যায়। হ্যা এটা আমি স্বীকার করি, কম্প্রমাইজ করে চলে যায়। তবে দুইজন দুই টাইপের হলেই কম্প্রমাইজ একজনের ঘাড়ে পড়ে। আর একজন কত সময় কম্প্রমাইজ করতে পারে। কম্প্রমাইজ করতে করতে এক সময় কম্প্রমাইজের উপর বিরক্ত চলে আসে। তখনই সম্পর্কের ইতি ঘটে।
আবার অনেকেই যুক্তি দেয় সম্পর্কের আগে টাইপ দেখে সম্পর্ক করলেন না কেন? তাদের উত্তর হলো, যারা কিছুদিন বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক থাকার পর প্রেমের সম্পর্কে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে এ যুক্তিটা ঠিক আছে।আর যারা হটাত প্রেমে পড়ে কিংবা মা বাবা অচেনা একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিল তাদের ক্ষেত্রে কি বলবেন? এই যুক্তি তাদের ক্ষেত্রে কোন কাজ দেবে না।
No comments:
Post a Comment