একজনকে ভীষন
সকাল হইতেছে।জানালার পাশে বসে আছি।সাথে কিছু খাবার ছিলো।খাইলাম।একাকিত্ব ঘাড়ের উপর ভর করছে।ভালো লাগতেছে না কিছু।বাহিরের তুষারপাত দেখতেছি।ঘুম ঘুম চোখে বাহিরের দৃশ্য দেখতে দেখতে ট্রেইন চলতেছিলো।সময়মত এসে পৌছালাম মিলান।মামার পরিচিত আরেক মামার বাসায় আসলাম। এখানে সারাদিন রেস্ট করে রাতে আবার ট্রেইন এ উঠবো। সব জায়গায় দুই একজন ক্রাক মাথার মানুষ থাকে।এখানেও আছে।এরা প্রবাসে আসার আগে ব্রেইনকে কর্কট করে আসে নাকি,আসার পর কর্কট হয় জানিনা।তারা মানুষের সাথে কিভাবে ব্যাবহার করতে হয় জানে না।মাঝে মাঝে মনে হয় আমি,আমার আত্বীয় স্বজন আর বন্ধু বান্ধব ছাড়া এ দুনিয়াতে আর কেউ ভাল নাই।যাই হোক,যেখানে যেমন প্রয়োজন,তেমনি ব্যাবহার করে চালিয়ে নিতে জানি।তাই চলার পথে, সে রকমই চলি।
খাওয়া দাওয়া করে সময়ের আগেই মিলান স্টেশন এসে পৌছালাম।কিছুক্ষন অপেক্ষার পর ট্রেইন আসল।কেবিন খুজে বের করে ডুকলাম।স্লিপিং সিট।৬ জন আমরা।এক ইন্ডিয়ান,আর বাকি ৪ জন মরক্কি।ওদের সাথে মিলার চেষ্টা করলাম।এর মধ্যে মামা কল করে জিজ্ঞেস করলেন সাথের মানুষ কোন দেশের।বললাম,মরক্কি।মামা বললেন,বি কেয়ারফুল। মরক্কিরা অনেকেই চোর হয়।লাগেজ খেয়াল রাখিও।যাই হোক আধ ঘুমা অবস্থায় রাত কাটালাম।সকাল হল।সকালের পরিবেশ দেখে দেখে রাস্তা এগুচ্চি। হার্টবিট টা একটু বেড়ে গেছে।কারন ফ্রান্সের বর্ডার এ অলরেডি ঢুকে গেছি।একটু পরেই নতুন আরেকটা দেশে নামবো।যাই হোক ঠিক সময়েই ট্রেইন এসে থামলো প্যারিস গারদেলিয়ন স্টাশনে।আমার মামা রিসিভ করবেন।খুব কাছের মামা।আমাকে অনেক আদর করেন,যদিও উনার খুব বেশী আদর পাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে উঠেনি।তবুও যা পেয়েছি তা খুব কম মানুষের ভাগ্যে জুটে।উনাকে কল করলাম।বললেন বাহিরে এসে কোন এক জায়গায় দাড়াতে।ঠিক তাই করলাম।উনি আসলেন।উনার সাথে বাসায় চলে আসলাম।নতুন জায়গা, নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশ। দেখা যাক কেমন যায় দিন।
No comments:
Post a Comment