Wednesday, 10 September 2014

বন্ধু এবং বন্ধুত্ব



বন্ধু
Happy friendship day
ছেলেবেলা! কিংবা মেয়েবেলা! যা-ই বলি না কেন স্কুল শুরুর দিনগুলোতে আমাদের অনেকেরই নতুন অভিজ্ঞতার নাম হয়তো একটাই, বন্ধুত্ব! পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে চেনা জগত্টা যে এক লাফে অনেক দূর চলে গিয়েছিল সে তো বন্ধুদের হাত ধরেই। জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে আজ যে যেখানেই থাকি না কেন চলার পথে বন্ধুত্ব নামের এই পাথেয়টির তুলনা বোধ হয় আর কিছুর সঙ্গেই চলে না। এ এমনই বিষয় যেন কিছু না থাকলেও বন্ধুত্ব থাকলে চলে আবার সব থাকলেও বন্ধুত্ব ছাড়া চলে না!

নানা সংস্কৃতিতে, নানা দেশে বন্ধুত্বের রীতিনীতিতে আগেও যেমন ভিন্নতা ছিল, এখনো তেমনি ভিন্নতা আছে। কিন্তু বন্ধুত্ব তো তাই যাকে কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না, সংজ্ঞা দিয়ে
বাঁধা যায় না। হয়তো তার প্রয়োজনও নেই। তবু মানুষ যুগে যুগে দেশে দেশে বন্ধুত্বকে যেমন উদযাপন করেছে তেমনি একে ব্যাখ্যা করারও চেষ্টা করেছে।

এমন এককাল তো ছিলই যখন ‘ছেলেতে-মেয়েতে’ বন্ধুত্ব হলে তা কেবল ভালোবাসা-প্রেমের সম্পর্ককেই বোঝাত! কিন্তু এই যুগ সেসব পেছনে ফেলে অনেক দূরই এগিয়েছে। তবু বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে—‘বন্ধুত্ব বলিতে তিনটি পদার্থ বুঝায়। দুই জন ব্যক্তি ও একটি জগত্। অর্থাত্ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর, প্রেম বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাত্র বুঝায়, আর জগত্ নাই। দুই জনেই দুই জনের জগত্।’

best friend
3 Idiot
ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন পাশাপাশি পা ফেলে চলতে না পারলে বন্ধুত্ব ধরে রাখা কঠিন হতেই পারে। ফরাসি দার্শনিক ও লেখক আলবেয়ার কামুর বিখ্যাত উক্তি। কামু বলছেন, ‘আমার সামনে সামনে হেঁটো না, আমি হয়তো অনুসরণ করব না। আমার পেছন পেছন হেঁটো না, আমি হয়তো পথ দেখাতে পারবে ন। আমার পাশে হাঁটো এবং বন্ধু হও।’

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...