Sunday, 20 July 2014

বন্ধু - বন্ধুর কাছ থেকে চাওয়া এবং পাওয়া

সত্যিকারের বন্ধুত্ব
True friendship
একটা বন্ধুর কথায় খুব মন খারাপ হলো। সব সময়ই চেস্টা করি বন্ধুদের সময় দিয়ে, বন্ধুদের সাথে থেকে আনন্দ উল্লাস করে সময় কাটানোর।তারপর ও কেউ যদি বন্ধুত্বের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে সত্যি খারাপই লাগে। সবার জীবনেই ব্যাস্ততা নামক একটা শব্দ বিদ্যমান। কেউ লেখাপড়া নিয়ে, কেউ কাজ নিয়ে, আবার অনেকেই আছে যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ নিয়েও ব্যাস্ত থাকে। সব সময় সব বন্ধুদের পাশে দাঁড়ানো অনেক সময় কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেক সময় অনেক বন্ধুর বিপদ জানা যায়না বলে পাশে দাঁড়ানো হয়ে উঠে না।

ধরুন, আপনি কোথাও একটা বিপদে পড়ছেন। এখন যদি আপনি বন্ধুদেরকে আপনার বিপদের কথা না জানান তবে
কিভাবে ওদের কাছ থেকে সাহায্যের আশা করতে পারেন। তারা জানেই না আপনি বিপদে আছেন।বন্ধুরা তো আপনার মনের ভাষা পড়তে পারবে না। আর এই সময়টাতে  ওদের সাথে দেখা না হলে তো আপনার বিপদ বুঝার প্রশ্নই উঠে না।
ধরুন, আপনি খুব অসুস্থ। আপনার ফ্রেন্ডরা জানে না যে, আপনি অসুস্থ। কোন কারনে ওরা আপনার সাথে যোগাযোগ করেনি/ করতে পারেনি। অথবা সেলফোনে বা অনলাইনে কথা হইছে, আপনি অসুস্থতার কথা বলেন নি।এখন যদি আপনি ওর উপর রাগ করে বসেন যে, আমি অসুস্থ ও বুঝতে পারলো না?? আমার অসুস্থতার কথা ও একবার ও জিজ্ঞেস করলো না ?? আপনার অসুস্থতার কথা বন্ধুদের কে না জানিয়ে কিন্তু আপনি বোকামি করলেন।

তবে হ্যা, যদি এমন হয়, আপনার বন্ধুটি জানে যে আপনি অসুস্থ, তারপর ও খোঁজ নেয়নি। তবে ভিন্ন কথা। আপনি বন্ধুত্বের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। আপনি যদি সত্যি ওরে বন্ধু মনে করেন তবে আপনার পেট ব্যাথা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ওরে ফোন দিয়ে বলবেন, দোস্ত- পেটে না মারাত্বক প্রবলেম করতেছে, মনে হচ্ছে পেট দিয়া উড়োজাহাজ যাইতেছে। ও হয়তো ফাইযলামো করে বলতে পারে এ পর্যন্ত কয়বার ?? অথবা  উড়োজাহাজে উইঠা কানাডা চলে যা দোস্ত। এর থেকে ভালো সুযোগ আর পাবে না। ফাইজলামির পর কিন্তু ও ঠিক ই বলবে দোস্ত ঘরে স্যালাইন আছে? একটা স্যালাইন খা ঠিক হয়ে যাবে। অথবা, কোন একটা ট্যাব্ল্যাটের নাম বলবে, ওইটা এনে খা। ঠিক হয়ে যাবে। হোক পেট ব্যাথা কিংবা জ্বর, বা অন্য কোন রোগ। পরদিন সকালেই উঠে ও প্রথম আপ্নাকেই  ফোন দিয়া খোঁজ নেবে। পারলে শুভ সকালেই আপনার বাসায় এসে হাজির হবে। বন্ধুত্বটা তো এ রকমই না- কি ?? আপনার সুখ- দুঃখ, হাসি আনন্দ সব ওরে আপনি নিজের থেকেই শেয়ার করতে হবে। তবেই না হলো বন্ধুত্ব। তবে কাছে থাকলে বন্ধুর মন খারাপ কি-না ওর মুখ দেখলেই বুঝা যায়। ফোনে কিংবা অনলাইন চ্যাটে ক্লিন্তু এইটা বুঝা অনেক কঠিন।

আর আপনি যদি আপনার বিপদেই শুধু ওরে কাজে লাগান, পরে আর কোন খবর থাকে না। ওর বিপদ শুনে ও আপনি এড়িয়ে যান, তবে ও উলটো আপনার বন্ধুত্বের মান নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার রাখে। আপনি যেমন ওরে আপনার বিপদের সময় পাশে পেতে চান তেমনি আপনার ও উচিৎ ওর বিপদে পাশে দাঁড়ানো। আপনার ও দায়িত্ব ওর মন ভালো কি-না খোঁজ খবর রাখা। আপনার ও উচিৎ ওর দুঃসময়ে ওর পাশে দাঁড়ানো।

মনে রাখবেন, আপনি আপনার বন্ধুর কাছ থেকে যতটুকু আশা করেন, আপনার ও ভাবা উচিৎ আমি কি ততটুকু ওর পাশে আছি ????

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...