নাস্তিক
- একজন
নাস্তিক যখন শুধুমাত্র জন্মসুত্রে পাওয়া তার নিজ ধর্মকে অপমান করে বা তার
ধর্মের সমালোচনা করে এবং অন্য সকল ধর্মকে ভালবাসে, তাহলে সে নাস্তিক না,
মহা ধান্দাবাজ একজন 'ভন্ড নাস্তিক'।
- একজন
নাস্তিকরুপী ব্যক্তি যখন অন্যের ধর্মকে অপমান করে, সে মোটেও নাস্তিক না,
বরং সে একজন গোড়া ধর্মান্ধ, সে তার নিজ ধর্মকে খুবই ভালবাসে এবং নাস্তিকতার
লেবাস পরে অন্য ধর্মকে আঘাত করে।
- বাংলাদেশে নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন এবং নাস্তিকরা ঈদের দিন নামাজও পরে, রোজা রাখেনা, কিন্তু ইফতার খায় ছোচার মতো।
- বাংলাদেশ
কমিউনিষ্ট পার্টির তেনারা উপর দিয়া লেনিন-মার্ক্স, রাশিয়ার জিকির করে এবং
আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে পকর-পকর করে, কিন্তু নিজের সন্তানদের
আমেরিকা পাঠায় পড়াশুনা করতে।
- সালমান
রুশদী কিংবা তাসলিমা নাসরীন প্রজাতীর মনোযোগ আকর্ষণকারী বা attention
seeker প্রাণীদেরকে আজকে কেউ চিনতোই না, যদি তাদের বিরুদ্ধে বোকার মতো
মিছিল-মিটিং-প্রতিবাদ ইত্যাদি না করা হইতো।
- একজন
ভাল নাস্তিক হইতে হলে সব ধর্মের ব্যাপারে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে, যা কোন
বাংলাদেশী নাস্তিকের নেই। একজন প্রকৃত নাস্তিক সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে
না, সে সৃষ্টিকর্তার শত্রু (?) হতে পারে, কোন ধর্মের নয়, এবং সে সকল ধর্মকে
সন্মান করে, কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে না।
- ধর্মনিরপেক্ষতা
বলতে নাস্তিকতা বোঝায় না, ধর্মনিরপেক্ষতা হলো ধর্ম থেকে রাষ্ট্রকে
পৃথকীকরণ, রাষ্ট্রের উপর ধর্মের কোন প্রভাব থাকবে না, অর্থাৎ "ধর্ম যার যার
রাষ্ট্র সবার"। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২ নং ধারা "ধর্ম নিরপেক্ষতা ও
ধর্মীয় স্বাধীনতা" বলে বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। বাংলাদেশের মত
সত্যিকার ধর্মনিরপেক্ষ দেশ পৃথিবীতে বিরল, উদাহরণস্বরুপ ফ্রান্সে
খ্রীষ্টানদের জন্য অনেক ধর্মীয় সরকারী ছুটি আছে, কিন্তু অন্য কোন ধর্মের
জন্য নেই, অথচ বাংলাদেশে সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্যই সরকারী ছুটি
দেশের জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যমান।
- পৃথিবীর সব ধর্মই মানবতার কথা বলে। 'মানবধর্ম' নামক একটা বাড়তি ধর্মের পৃথিবীতে কোন দরকার নাই।
- আমেরিকানরা
ঈশ্বরকে পকেটে নিয়া ঘুরে বেড়ায়, কারণ ডলারের গায়ে লেখা থাকে « In God We
Trust », জার্মানীর ক্ষমতাসীন দলের নাম «Christian Democratic Union of
Germany», অর্থাৎ ইউরোপ এবং আমেরিকার অনেক দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ
হলেও তারাও সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করে। অন্যদিকে, রাশিয়ার জনসংখ্যার একটা
গুরত্বপুর্ণ অংশ সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাস করে না।
- কিন্তু
আমাদের দেশের ভন্ড নাস্তিকগণ এখন আর রাশিয়া যেতে চান না, তারা চান একটা
ধর্মকে খোচা দিয়া নিজে বিখ্যাত হইতে অতপর ইউরোপ বা আমেরিকাতে এসে রঙীন
জীবনযাপন করতে।
- ইউরোপ বা আমেরিকার
জীবন যদি এতই রঙীন হইতো, তাইলে আমাগো তসলীমা বুড়ী কলকাতার আধো আলোর
রেষ্টুরেন্টের ভিতরে বড় সাইজের রঙীন সানগ্লাস পইড়া বইয়া বড় আকারের ফুচকার
ভিতরের চানা আর বুট নিয়া গবেষনা করতো না।
COPY FROM
আবুল হাছান ভাইয়ের নোট
No comments:
Post a Comment